জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন সঠিক নিয়মে ২০২৪
জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন সঠিক নিয়মে ২০২৪
জন্ম নিবন্ধনই হচ্ছে কোন ব্যক্তির নাগরিকত্বের প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বা প্রমাণপত্র। কোন শিশু জন্মের পর তার তথ্য আইন অনুসারে সরকারি খাতায় লিপিবদ্ধ করাকে এক কথায় বলা হয় জন্ম নিবন্ধন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুসারে বাংলাদেশের সকল নাগরিককে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সঠিকভাবে নতুন নিয়মে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন ২০২৪ |
অনলাইনে কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন,নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার সঠিক নিয়ম বা পদ্ধতি,নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়? জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফি কতো বা আবেদন করতে কতো টাকা লাগে? অনলাইনে অনেকের জন্ম নিবন্ধন এর আবেদন করার ক্ষেত্রে ভুল হলে বা ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।এজন্য সঠিক নিয়মে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আজকের এই পোস্টে সহজ ও সঠিক নিয়মে এবং নির্ভুলভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য র্সব প্রথমেই https://bdris.gov.bd/br/application ভিজিট করতে হবে। তারপর সাদা একটি জন্ম নিবন্ধন র্ফমে নতুন নিবন্ধনকারী সঠিকভাবে ব্যক্তির নাম,জন্ম-তারিখ, পিতা-মাতার নামসহ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল তথ্য পূরণ করে আবেদন সাবমিট করে এর প্রিন্ট কপি ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিতে হবে।
আবেদন ফর্মে ব্যক্তির তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। জন্ম তারিখের ঘরে সঠিক জন্ম তারিখ দিতে হবে। জন্ম তারিখ ফরমেট- DD-MM-YYYY অনুসরণ করতে হবে। আবেদনকারী ব্যক্তির লিঙ্গ নির্বাচন এবং পিতা-মাতার কততম সন্তান,জন্মস্থানের ঠিকানা প্রদান করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
মনে রাখতে হবে যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুসারে শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক । ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হলে শিশুর বয়স ৫ বছর হওয়ার আগেই অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন করতে হবে না হলে পরবর্তিতে নিবন্ধন করতে অনেক সমস্যায় সম্মুখিন হতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন এর প্রয়োজনীয়তা
জন্ম নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা একজন ব্যক্তির জন্মের সময় ও স্থানের সঠিক তথ্য সরবরাহ করে। এটি একজন ব্যক্তির অস্তিত্ব ও ব্যক্তিগত তথ্যের দ্বারা নাগরিকত্ব ও অন্যান্য কার্যকলাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রধান উপকারগুলির মধ্যে রয়েছে-
ব্যক্তিগত সনাক্তকরণঃ জন্ম নিবন্ধন দ্বারা ব্যক্তির সনাক্তকরণ হয়, যা অন্যান্য কার্যকলাপের জন্য প্রয়োজনীয়।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবাঃ বাচ্চার জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা পেতে এই দলিল প্রয়োজন হয়। এটি তাদের স্কুলে নিবন্ধিত করতে এবং ভালো স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে সাহায্য করে।
সরকারি সুবিধাঃ জন্ম নিবন্ধন সরকারি সুবিধা ও সুরক্ষা প্রদানে সাহায্য করে, যেমন ভোটার তালিকা, ব্যক্তিগত সুরক্ষা, সরকারি সুবিধা প্রাপ্তি ইত্যাদি।
সমাজের সম্মানঃ জন্ম নিবন্ধন একজন ব্যক্তির সমাজে সনাক্তকরণে সাহায্য করে এবং তার অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয়ঃ বিবাহ, স্বাক্ষরিক সম্মান, দণ্ডাদেশ প্রয়োজন হলে জন্ম নিবন্ধন প্রমাণ করে।
সুতরাং, একজন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল যা তার অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে এবং তাকে সমাজের সাথে সংযোগ করে এবং সরকারি ও অরাজনৈতিক সুবিধা প্রাপ্ত করতে সাহায্য করে।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন
আপনারা অবগত যে সকল জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন ভিত্তিক । জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে সাধারণভাবে প্রয়োজন হয় বাড়ির কর/জমির কাগজ পএ রশিদ / টিকা কার্ড এবং একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
তবে বয়স ভেদে প্রয়োজনীয় কাগজ পএ ভিন্ন হতে পারে। নিচে বয়স অনুসারে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজে এর তালিকা উল্লেখ করা হলো ঃ
আবেদনকারীর শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন এর মধ্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
- হাসপাতাল এর ছাড়পত্র/ শিশুর ইপিআই টিকা কার্ড ।
- বাসা-বাড়ির ট্যাক্স বা কর পরিষদের রশিদ।
- অভিভাবকের এর সচল মোবাইল ফোন নাম্বার।
- পিতা-মাতা বা অভিভাবক এর জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID)কার্ড (ইহা বাধ্যতামূলক নয় )
- পিতা-মাতা বা অভিভাবক এর জন্ম সনদ ( ইহা না থাকলে সমস্যা নয় )
বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছরের মধ্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
- হাসপাতাল এর ছাড়পত্র/ শিশুর ইপিআই টিকা কার্ড ।
- বাসা-বাড়ির ট্যাক্স বা কর পরিষদ রশিদ।
- অভিভাবকের এর সচল ফোন নাম্বার।
- অভিভাবকের এর জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID)কার্ড ।
- অভিভাবকের এর অনলাইন জন্ম সনদ ( ইহা না থাকলে সমস্যা নয় )
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর সহ প্রত্যয়ন পত্র (যদি প্রয়োজন হয়)
- ব্যক্তির পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি রঙ্গিন ছবি।
বয়স ৫ বছর এর বেশি হলে প্রয়োজনীয় কাগজ পএ
- অভিভাবকের এর জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড ( ইহা বাধ্যতামূলক নয় )
- অভিভাবকের এর জন্ম নিবন্দন সনদ ( না থাকলে সমস্যা নয় )
- বাসা-বাড়ি বা জমি ক্রয়ের দলিল/ কর প্রদানের রশিদ।
- অভিভাবকের স্থায়ী ঠিকানার ইউনিয়ন পরিষদ কতৃক কর রশিদ।
- ব্যক্তির বয়স প্রমাণের জন্য কোন মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (অবশ্যই তাকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী হতে হবে। )
- আবেদনকারি ব্যক্তির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি সার্টিফিকেট / জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট অথবা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট প্রমান হিসেবে লাগবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম বা পদ্ধতি
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে বাংলাদেশ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এর অফিশিয়াল সাইটে ভিজিট করতে হবে। তারপর আবেদনকারির তথ্য নাম, ঠিকানা, লিঙ্গ এবং জন্ম-তারিখ দিয়ে আবেদনের প্রথম ধাপ সম্পূর্ণ করে,তারপর আরো কিছু তথ্য দিয়ে করে জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পূর্ণ করতে হবে। নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার সম্পূর্ণ ধাপ নিচে ছবিসহ দেওয়া হলঃ
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সাইটে প্রবেশ
অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য র্সব প্রথমে বাংলাদেশ জন্য ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিসিয়াল https://bdris.gov.bd/br/application এই ওয়েবসাইট লিংকে ভিজিট করতে হবে । প্রবেশ করে জন্ম নিবন্ধন এর সঠিক ঠিকানা বাচাই করুন। জন্ম নিবন্ধনের ঠিকানা হিসেবে নতুন আবেদনকারী ব্যক্তির বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা অথবা জন্মস্থান এর যে কোন একটি বাচাই করে নিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন ২০২৪ |
যদি বাংলাদেশের বাহির থেকে দূতাবাসের সাহায্যে আবেদন করতে চাইলে দূতাবাস নির্বাচন করতে হবে। এখানে যে ঠিকানা নির্বাচন করবেন সে ঠিকানা থেকেই পরর্বতীকালে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করতে হবে।
নতুন নিবন্ধনকারী ব্যক্তির তথ্য প্রদান
যে ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা হবে তার ব্যক্তিগত কতিপয় কিছু তথ্য দিতে হবে। উল্লেখিত ফরমে ব্যক্তির নামের প্রথম এবং শেষে বাংলা এবং ইংরেজিতে ফরম পূরন করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন সঠিক নিয়মে ২০২৪ |
এরপর জন্ম তারিখ (dd-mm-yyyy) উল্লেখিত ফরমেটে লিখতে হবে।জন্ম তারিখের ঘরে ক্লিক করলে ক্যালেন্ডার হতে জন্মের দিন সাল ও মাস দেওয়ার অপশন পেয়ে যাবে। জন্ম তারিখ দেওয়ার সময় একটি নোটিশ দেখতে পাবে বয়সের উপর ভিত্তি করে জন্ম নিবন্ধন করতে যেসব ডুকুমেন্টস লাগবে সেব সেখানে উল্লেখ করা থাকবে।
এরপর আপনি পরিবারের কত তম সন্তান,পুরুষ না মহিলা তার নির্বাচন করতে হবে।নির্বাচন করার পর জন্ম স্থানের ঠিকানা লিখতে হবে। ঠিকানা বাছাই করার জন্য ধারাবাহিকভাবে বিভাগ,জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রামে ও পাড়া বা মহল্লা বাসা/ হোল্ডিং নাম্বার পর্যন্ত লিখতে হবে।
আপনার যদি যদি গ্রাম এলাকা হয় এবং আপনি যদি আপনার বাসার হোল্ডিং নাম্বার না জেনে থাকলে তা (-) ড্যাশ বসিয়ে দিতে হবে। সর্বশেষ ফরমটি সঠিকভাবে তথ্য দিয়ে পূরণ করা হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে চাপতে হবে।
অভিভাবক/পিতা-মাতার তথ্য প্রদান
জন্ম নিবন্ধনের এই ধাপে নিবন্ধনকারী ব্যক্তির পিতা-মাতা অথবা অভিভাবকের সঠিক তথ্য দিতে হবে। সর্ব প্রথমে পিতার নাম বাংলায় এবং ইংরেজিতে বড় হাতের অক্ষরে লিখতে হবে। এরপর পিতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন থাকলে/ জাতীয় পরিচয় পত্র ( NID )নাম্বার থাকলে সেই নাম্বরটিও দিয়ে পূরন করতে হবে। এরপর মাতার তথ্যও একইভাবে ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন ২০২৪ |
অনলাইনের জন্ম নিবন্ধনের তথ্য পূরন করার সময় পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন দিলে সক্রিয়ভাবে পিতা-মাতার নাম জন্ম নিবন্ধন থেকে পূরণ হয়ে যাবে। আগে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার সময় পিতা-মাতার উভয়ের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন দরকার হতো। বর্তমানে পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কোন সমস্যা হয়না।
এরপর অভিভাবক/পিতা-মাতার তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা সম্পূর্ণভাবে হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা প্রদান করুন
আবেদনের ৪র্থ ধাপে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা সঠিকভাবে দিতে হবে। আবেদনের শুরুতেই জন্মস্থানের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। তাই এখন শুধু বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা লেখার জন্য ‘কোনোটিই নয়’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন ২০২৪ |
তারপর দেখবে বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করার জন্য নতুন ফর্ম আসবে। যদি স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে জন্মস্থান এবং স্থায়ী ঠিকানা এক হয় তাহলে ‘জন্মস্থান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই, বক্সে টিক মার্ক করে দিন।
জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন ২০২৪ |
আর যদি বর্তমান ঠিকানার ক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হয় তাহলে ‘স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই’ বক্সে টিক মার্ক করে দিন।
জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন ২০২৪ |
আর যদি ঠিকানা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে তাহলে পর্যায়ক্রমে ঠিকানা নির্বাচন করে দিতে হবে। ঠিকানা দেওয়ার ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে দেশ, বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন / পৌরসভা এভাবে ঠিকানা দিয়ে ফরম পূরন করতে হবে।
সঠিকভাবে ঠিকানা পূরন করা হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজে যেতে হবে।
নতুন আবেদনকারীর তথ্য প্রদান
এই ধাপে ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধনের আবেদনকারের তথ্য দিতে হবে। সাধারণভাবে ব্যক্তির পিতা- মাতা, আইনগত অভিভাবক দায়ী হয়ে থাকেন। এজন্য জন্ম নিবন্ধন আবেদন সাধারণত পিতা- মাতা, আইনগত অভিভাবক তারাই করে থাকেন।
আর যদি আপনি নিজেই নিজের জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান তাহলে ‘নিজ’ অপশন বাচাই করে নিতে হবে। অথবা পিতা- মাতা, পিতামহী-পিতামহ,মাতামহ- মতামহী বা আইনগত অভিভাবক বা অন্যান্য বাচাই করতে হবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন ২০২৪ |
এরপর আবেদনকারী ব্যাক্তির সচল একটি মোবাইল নাম্বর প্রয়োজন পড়বে। আপনার মোবাইল নাম্বরে আবেদন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ম্যাসেজ এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।এছাড়া একটি ইমেইল আইডিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে ইমেইল আইডি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক নয়।
সব তথ্যগুলো ঠিকভাবে দেওয়া হলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস/কাগজ পএ সাবমিট
মানে সর্বশেষে ধাপে এ জন্ম নিবন্ধন এর জন্য প্রয়োজনীয় যতো ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র সাবমিট করতে হবে। পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে টিকা কার্ডের স্ক্যান কপি বা জমির /বাসা-বাড়ির কর রশিদ দিয়ে সাবমিট করা যায়। আপনি চাইলে একাধিক ফাইলও সাবমিট করতে পারবেন। একটি ফাইল সাবমিট করা শেষ হলে সংযোজন বাটনে ক্লিক করে আরেকটি ফাইল সাবমিট করা যায়। মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটি ফাইল যেন ১০০ কেবির এর ছোট হয়।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন ২০২৪ |
আবেদন পত্র প্রিন্ট/ডাউনলোড
আগের সবগুলো ধাপগুলো সফলভাবে সম্পন্ন হলে জন্ম নিবন্ধন ফর্মটি সঠিকভাবে সাবমিট করলে জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করার অপশন পেয়ে যাবে। তবে আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে প্রিন্ট না করলেও আবেদনপত্রের নাম্বারটি অবশ্যই সংগ্রহ করে রাখতে হবে কারন পরবির্তীতে নাম্বারটি প্রয়োজন পড়বে । আবেদন করার ১৫ কার্য দিবসের ভিতর আপনার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ / পৌরসভা থেকে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করতে পারেবেন। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ / পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে আবেদন পত্রের নাম্বার অথবা প্রিন্ট কপি জমা দিলে জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুমোদন করে তারা দিয়ে দিবে।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করুন ২০২৪ |
জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই
আপনার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র সঠিকভাবে সাবমিট হলে আবেদনটি অনুমোদন হয়েছে কিনা তা অনলাইন থেকে চেক নিতে পারেন।আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর জন্ম নিবন্ধনের সকল অবস্থা অনলাইন থেকে চেক করে জেনে নিতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করুন
আপনার আবেদনকৃত নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন এর পর অনুমোদন হলে সংগ্রহ করার জন্য যে নিবন্ধক অফিস/কার্যালয় বাছাই করেছিলে সেই ইউনিয়ন / পৌরসভা থেকে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করতে হবে। মনে রাখতে হবে ১৫ দিনের ভিতর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন / পৌরসভা কার্যালয় থেকে সংগ্রহ না করলে আবেদনটি অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে। জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করা হলে ডাউনলোড করে দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবের স্বাক্ষরশীলসহ চেয়ারম্যান / পৌরসভা মেয়র থেকেও সিল স্বাক্ষর নিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফি
কোন বাচ্চার বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন বয়স পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করলে ফ্রি বা টাকা নেওয়া হয়না । ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা ফি নেওয়া হয় আর বিদেশে থেকে করলে ১ ডলার মূল্য নেওয়া হয়। আর কোন ব্যাক্তির বয়স ৫ বছরের বেশী হলে ৫০ টাকা আর বিদেশে ১ ডলার ফি নেওয়া হয়। আর জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য বিলম্ব ফি হিসেবে ১০০ টাকা আর বিদেশে ২ ডলার ফি নেওয়া হয।আর অন্যান্য কোন তথ্য সংশোধন এবং বাংলা-ইংরেজি উভয় ভাষায় জন্ম নিবন্ধন সনদের নকল কপি সরবরাহের জন্য ৫০ টাকা এবং বিদেশে ১ ডলার আবেদন ফি নেওয়া হয়।
ক্রমিক নং | বয়স | নিবন্ধন ফি |
---|---|---|
১ | শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫দিন | ফ্রি |
২ | ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর | ২৫ টাকা |
৩ | বয়স ৫ বছরের বেশি হলে | ৫০ টাকা |